Menu

উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবে আজ রাতের তারকারা

thumbnail

আজ থেকে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী ‘বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসব ২০১৬’। শাস্ত্রীয় নৃত্য, গীত ও বাদ্যে স্বনামধন্য শিল্পীসহ বাংলাদেশ ও ভারতের উদীয়মান শিল্পীরাও এ উৎসবে অংশ নেবেন। শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার দল নৃত্যনন্দনের ‘রবি করোজ্জ্বল নৃত্যমালিকা’ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে এবারের উৎসব শুরু হবে। এরপর যুগলবন্দি পরিবেশনায় অংশ নেবেন প্রবীণ গোডখিণ্ডি [বাঁশি] ও রাতিশ তাগড়ে [বেহালা]। এরপর খেয়াল পরিবেশন করবেন বিদুষী গিরিজা দেবী। এ ছাড়াও থাকছে ওস্তাদ আশিষ খাঁ, অশ্বিনী ভিদে দেশপাণ্ডে, পণ্ডিত সঞ্জীব অভয়ঙ্কর, এল সুব্রহ্মণ্যন ও তন্ময় বোসের পরিবেশনা। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাতব্যাপী চলবে এই আয়োজন।

বিদুষী গিরিজা দেবী

সেনিয়া ও বেনারস ঘরানার প্রবাদপ্রতিম কণ্ঠশিল্পী গিরিজা দেবী। কণ্ঠশিল্পী ও সারেঙ্গিবাদক সরজু প্রসাদ মিশ্রের কাছে তিনি প্রথমে খেয়াল ও টপ্পায় প্রশিক্ষণ নেন। পরবর্তীকালে চাঁদ মিশ্রের কাছে বিভিন্ন সঙ্গীতরীতি রপ্ত করেন। ছয় দশকের অধিক বর্ণাঢ্য সঙ্গীতজীবনে অর্জন করেছেন বহু পুরস্কার ও সম্মাননা।

প্রবীণ গোডখিণ্ডি

প্রবীণ গোডখিণ্ডির শুরু তার পিতা কণ্ঠশিল্পী ও বংশীবাদক পণ্ডিত ভেঙ্কটেশ গোডখিণ্ডি। ২০১০ সালে আর্জেন্টিনার ওয়ার্ল্ড ফুট ফেস্টিভলসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে বংশীবাদন করেছেন। বর্তমানে হারমান একেজির শুভেচ্ছা দূত তিনি।

রাতিশ তাগড়ে

পিতা এসভি তাগড়ের তত্ত্বাবধানে তবলা শিখতে শুরু করেন রাতিশ তাগড়ে। ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে তার বাজনা পরিবেশন করেছেন। শাস্ত্রীয়সঙ্গীতে তার অবদানের জন্য তাগড়ে ন্যাশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ও এশিয়া প্যাসিফিক এন্টারপ্রেনিউরশিপ অ্যাওয়ার্ড ২০১৫ অর্জন করেন।

আশিষ খাঁ

শিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক ওস্তাদ আশিষ খাঁ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব আর্টসে যন্ত্রসঙ্গীতের অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন। আশিষ খাঁ ভারতের প্রথম শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী, যিনি ২০০৭ সালে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডের রয়েল এশিয়াটিক সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন।

বিক্রম ঘোষ

ভারতের একজন সুপরিচিত তবলাশিল্পী বিক্রম ঘোষ। তার বাজনায় পাতিয়ালার ঠুমরি ও খেয়ালের অনুরাগ পরিলক্ষিত হয়। ভারতে ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিষ্ঠিত কণ্ঠ এবং যন্ত্রশিল্পীদের সঙ্গে তবলা বাজিয়ে সুখ্যাতি অর্জন করেছেন।

অশ্বিনী ভিদে দেশপাণ্ডে

জয়পুর আত্রৌলি ঘরানার একজন শিল্পী অশ্বিনী ভিদে দেশপাণ্ডে। তার কণ্ঠ মাধুর্য ও গায়নশৈলীর জন্য সঙ্গীতবোদ্ধা, সাধারণ শ্রোতা ও সমালোচকদের অকুণ্ঠ প্রশংসা অর্জন করেছেন। প্রথম অ্যালবাম রেকর্ড করেন ১৯৮৫ সালে। ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কৃতিত্বের সঙ্গে সঙ্গীত পরিবেশন করে সুনাম অর্জন করেছেন। ধ্রুপদী কণ্ঠসঙ্গীতে অবদানের জন্য বিভিন্ন পদকে ভূষিত হয়েছেন।

সঞ্জীব অভয়ঙ্কর

মেওয়াতি ঘরানার একজন সুপরিচিত কণ্ঠশিল্পী সঞ্জীব অভয়ঙ্কর। কণ্ঠসৌষ্ঠব ও মাধুর্যে তিনি বিশিষ্ট হয়ে উঠেছেন।

এল সুব্রহ্মণ্যন

ড. এল সুব্রহ্মণ্যন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন বেহালাশিল্পী। দেশীয় ধ্রুপদীসঙ্গীত ছাড়াও অর্কেস্ট্রা, ব্যালে ও চলচ্চিত্রের জন্য সঙ্গীত রচনা ও পরিচালনা করে তিনি সুখ্যাতি অর্জন করেছেন।

তন্ময় বোস

একাধারে স্বনামধন্য তবলাবাদক, সঙ্গীত পরিচালক ও অভিনেতা তন্ময় বোস। ভারতে ও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তবলা বাজিয়ে প্রভূত সম্মান অর্জন করেছেন।

View Full Article