Menu

বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসব উৎসবে অংশ নিতে পেরে খুব ভালো লাগছে : ওস্তাদ আশিস খাঁ দেবশর্মা

thumbnail

রাগ দরবারি কানারায় আলাপ জোড় কালা, দাদরা তালে মিশ্র ভৈরবী বাজিয়ে শোনান ওস্তাদ আশিস খাঁ দেবশর্মা। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী, সঙ্গীত পরিচালক এবং সরোদিয়া হিসেবে বিশ্বব্যাপী তার পরিচিতি। তিনি সেনিয়া মাইহার ঘরানার প্রতিষ্ঠাতা ও ভারতীয় রাগসঙ্গীতের কিংবদন্তি আলাউদ্দিন খাঁয়ের নাতি। বাবা বিশ্ববিখ্যাত সরোদিয়া ওস্তাদ আলি আকবর খাঁ। তার জন্ম ব্রিটিশ ভারতের একটি ছোট প্রদেশ মাইহারে ১৯৩৯ সালের ৫ ডিসেম্বর। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পারিবারিক আবহেই তার বেড়ে ওঠা। পাঁচ বছর বয়সে দাদা আলাউদ্দিন খাঁ’র হাতে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তার হাতেখড়ি। পরবর্তীকালে তিনি তার মা জোবাইদা বেগমের কাছেও তালিম নেন। বাবা ওস্তাদ আলি আকবর খাঁ ও তার ফুপু অন্নপূর্ণা দেবীর তত্ত্বাবধানে সেনিয়া মাইহার ঘরানার ঐতিহ্যবাহী ‘বীণকার’ এবং ‘রাবাবিয়া’ প্যাটার্নের ‘ধ্রুপদ’ স্টাইল রপ্ত করেন। তার মা জোবাইদা বেগম ওস্তাদ আলি আকবর খাঁয়ের প্রথম স্ত্রী। তার দাদা আলাউদ্দিন খাঁয়ের সঙ্গে তিনি তের বছর বয়সে দিল্লি অল ইন্ডিয়া রেডিওর জাতীয় প্রোগামে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন।

ওস্তাদ আশিস খাঁ দেবশর্মা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অব আটর্সে যন্ত্রসঙ্গীতের অধ্যাপক। তিনি ১৯৬৯ সালে প্রখ্যাত তবলাবাদক জাকির হোসেনের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে ‘শান্তি’ দল প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে তারা ‘দ্য থার্ড আই’ ফিউশন দল গঠন করেন। তিনি জন বারহাম, জর্জ হ্যারিসন, রিঙ্গো স্টার, এরিক ক্ল্যাপটনসহ বিশ্বের বহু নামিদামি সঙ্গীতশিল্পীর সঙ্গে বাজিয়েছেন। স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন ইলিনয় আর্টস কাউন্সিল ফেলোশিপ, সঙ্গীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার। মনোনীত হন গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের জন্য। তিনিই প্রথম ভারতের শাস্ত্রীয়সঙ্গীত শিল্পী যিনি ২০০৭ সালে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডের রয়েল এশিয়াটিক সোসাইটির ফেলো হিসেবে নির্বাচিত হন।বেঙ্গল আয়োজিত উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসবে প্রথমবারের মতো অংশ নেন ওস্তাদ আশিস খাঁ দেবশর্মা। এতে অংশ নেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রথমবার হলেও এ উৎসবে অংশ নিতে পেরে খুব ভালো লাগছে। আশা করছি পরেরবারও অংশ নিতে পারব। এখানকার আয়োজন, আপ্যায়ন সবই আমার পছন্দের। বিশেষ করে এখানকার দর্শক-শ্রোতারাও বেশ সঙ্গীতপ্রিয়।’