Menu

আজ সুব্রামানিয়াম ও অর্কেস্ট্রা জাদু

thumbnail

ঢাকার ধানমন্ডির আবাহনী মাঠে পাঁচ দিনের শাস্ত্রীয় সংগীতের আয়োজন ‘বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব ২০১৭’–এর শুরুটা হবে জাদুকরী। উৎসবের প্রথম পরিবেশনায় মঞ্চে উঠবেন বেহালার জীবন্ত কিংবদন্তি ড. এল সুব্রামানিয়াম। তাঁর সঙ্গে থাকবে কাজাখস্তানের আস্তানা সিম্ফনি ফিলহারমোনিক অর্কেস্ট্রা। দলটির অর্ধশতাধিক সদস্য এখন ঢাকায়।

সুব্রামানিয়াম গত বছরের উৎসবে এসেছিলেন, এবারও তিনি ছড়াবেন বেহালার জাদু। দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি করেছেন সংগীতের মূর্ছনা। কাজ করেছেন ইয়েহুদি মেনুহিনের মতো শিল্পীর সঙ্গে।

সংগীতে পূর্ব ও পশ্চিমের এই মিলন তিনি কীভাবে ঘটান? প্রথম আলোর এই প্রশ্নে সুব্রামানিয়াম বলেন, সংগীতের এই ক্ষমতা আছে। মূলত সাত সুর থেকেই তো সব সংগীতের উৎপত্তি। বিভিন্ন ধরনের মানুষকে তাই সংগীত এক করতে পারে।

কথায় কথায় একটি ঘটনা বললেন দক্ষিণ ভারতীয় শিল্পী সুব্রামানিয়াম। আশির দশক, তিনি তখন যুক্তরাষ্ট্রে। তাঁর দলের অধিকাংশ সংগীতশিল্পীও সেখানকার। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি অর্কেস্ট্রা দলের সঙ্গে তখন অনুষ্ঠান করেছিলেন। দুই পরাশক্তি দেশের শিল্পীদের এক মঞ্চে আনতেই অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। অনুষ্ঠান শেষে দুই দেশের রাষ্ট্রদূতেরা একসঙ্গে উল্লাস করছিলেন। কিছুক্ষণের জন্য তাঁরা ভুলে গিয়েছিলেন স্নায়ুযুদ্ধের তিক্ততা।

আস্তানা অর্কেস্ট্রা দল গঠিত হয়েছিল ২০০০ সালে। এরই মধ্যে এটি বিশ্বের অন্যতম সেরা অর্কেস্ট্রা দলের স্বীকৃতি পেয়েছে। দলটির আর্টিস্টিক ডিরেক্টর বেরিক বাতিরখান বলেন, একসময় লোকসংগীত, জ্যাজ, শাস্ত্রীয় সংগীত—এই ভাগগুলো থাকবে না। এল সুব্রামানিয়ামের সঙ্গে বাদনের এই অভিজ্ঞতায় যে সংগীতের সৃষ্টি হবে, সেটা হবে অনন্য কিছু।

প্রথম দিন থাকছেন যাঁরা—

বেহালা ও অর্কেস্ট্রা: ড. এল সুব্রামানিয়াম ও আস্তানা সিম্ফনি ফিলহারমোনিক অর্কেস্ট্রা

সরোদ: রাজরূপা চৌধুরী

খেয়াল: বিদুষী পদ্মা তালওয়ালকার

সেতার: ফিরোজ খান

খেয়াল: সুপ্রিয়া দাস, বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়

বাঁশি ও সেতার: রাকেশ চৌরাসিয়া ও পূর্বায়ণ চট্টোপাধ্যায়

 

View Full Article