উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসবে আজকের তারকারা
আজ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন আয়োজিত উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসবের চতুর্থ দিন। আয়োজনের শুরুতে মণিপুরি, ভরতনাট্যম ও কত্থকনৃত্য পরিবেশন করবেন সুইটি দাস, অমিত চৌধুরী, স্নাতা শাহরিন, সুদেঞ্জা স্বয়মপ্রভা, মেহরাজ হক ও জুয়াইরিয়াহ মৌলি। এরপর বেঙ্গল পরম্পরা সঙ্গীতালয় ও পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদারের সরোদ বাদন ছাড়াও খেয়াল পরিবেশন করবেন ওস্তাদ রাশিদ খান ও পণ্ডিত যশরাজ। অন্যদিকে, ড. মাইশুর মঞ্জুনাথ রাগ-রাগিণীর আবহ তুলে ধরবেন বেহালায়। সাসকিয়া রাও দ্য-হাসের চেলো আর পণ্ডিত বুদ্ধাদিত্য মুখার্জির সেতার বাদন দিয়ে শেষ হবে আজকের আয়োজন।
পণ্ডিত যশরাজ
ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অগ্রগণ্য নাম পণ্ডিত যশরাজ। ভারতের মেওয়াতি ঘরানার কিংবদন্তি এ শিল্পী আজ সরোদ পরিবেশন করবেন। সর্বপ্রথম বাবা পণ্ডিত মতিরামের কাছে সঙ্গীতে তালিম নেন তিনি। পরবর্তী সময়ে বড় ভাই পণ্ডিত প্রতীপ নারায়ণ, মহারাজ জয়ান্ত সিং প্রমুখের কাছে সরোদ ও কণ্ঠসঙ্গীতে তালিম নেন তিনি। ভারতের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সঙ্গীত পরিবেশন করে সুনাম অর্জন করেন তিনি।
পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার
ভারতের প্রখ্যাত সরোদ বাদক পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার। মাইহার ঘরানার শিল্পী হিসেবে পরিচিত তিনি। শৈশবে দাদা বিভূতিরঞ্জন মজুমদার এবং পরে বাবা রঞ্জন মজুমদারের কাছে তালিম নেন তিনি। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে মাইহার ঘরানার সরোদ পরিবেশন ও কারিগরি দক্ষতার জন্য খ্যাতি অর্জন করেন মজুমদার। ধ্রুপদ তন্ত্রকারী এবং গায়কী ঘরানার সরোদ বাদনের জন্য তার জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে।
পণ্ডিত বুদ্ধাদিত্য মুখার্জি
ভারতীয় শাস্ত্রীয় সেতার ও সুরবাহার বাদক পণ্ডিত বুদ্ধাদিত্য মুখার্জি ইমদাদখানি ঘরানার অন্যতম শিল্পী। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে পিতা বিমলেন্দু মুখার্জির কাছে হাতেখড়ি তার। ১৯৭০ সালের পর বিখ্যাত নির্মাতা সত্যজিৎ রায় এবং দক্ষিণ ভারতীয় বীণাবাদক বালাচন্দরের কারণে তিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ১৯৭৫ সালে ‘সেতার আর্টিস্ট অব দ্য সেঞ্চুরি’ খেতাবে ভূষিত হন তিনি। বৈচিত্র্য, গতি ও সম্পূর্ণতার কারণে পেশাদার সেতারবাদক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
ওস্তাদ রাশিদ খান
ভারতের প্রখ্যাত খেয়াল শিল্পী ওস্তাদ রাশিদ খান। ছোটবেলায় চাচার কাছে সঙ্গীতে হাতেখড়ি হলেও পরে নিসার হুসাইন খানের তত্ত্বাবধানে সঙ্গীতে তালিম নেন তিনি। ভারতের রামপুর-সাহাশন ঘরানার অন্যতম ধারক তিনি। ওস্তাদ এনায়াত হুসাইন খান এবং তার ভাগ্নে ওস্তাদ গোলাম মোস্তফা খানের পর তিনি এ ঘরানার প্রচার ও প্রসারে কাজ করছেন। সারগাম এবং সারগাম তানকারির সঙ্গে বিলম্বিত খেয়াল পরিবেশনের জন্য বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেন তিনি।
সাসকিয়া রাও দ্য-হাস
সাসকিয়া রাও দ্য-হাস পাশ্চাত্য ঘরানার সঙ্গীতশিল্পী হলেও ১৯৯৩ সালে এক কনসার্টে অংশ নিতে ভারতে আসার পর সঙ্গীতের এক নতুন ভুবন আবিস্কার করেন তিনি। একই সঙ্গে তিবর দে মাচোলার কাছে চেলো শেখার পাশাপাশি ভারতের কৌস্তভ রয় এবং পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাশিয়ার কাছে তালিম নেন। কারিগরি সংমিশ্রণের পাশাপাশি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের গভীরতা ঠিক রেখে চেলো পরিবেশন করেন তিনি।
ড. মাইশুর মঞ্জুনাথ
বেহালায় শাস্ত্রীয় ভারতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন ড. মাইশুর মঞ্জুনাথ। অধ্যাপক এস মহাদেভাপ্পার একনিষ্ঠ ছাত্র ছিলেন তিনি।