উচ্চাঙ্গসঙ্গীত নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে নেই
প্রিয়াঙ্কা গোপ। কণ্ঠশিল্পী। ‘বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসব ২০১৬’-তে আজ সঙ্গীত পরিবেশন করবেন তিনি। সম্প্রতি তিনি প্রকাশ করেন ঠুমরি গানের অ্যালবাম ‘ঠুমরি ভলিউম-১’। আজকের আয়োজন ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তিনি-
আজ দর্শককে কী শোনাবেন?
শুদ্ধসঙ্গীতের শ্রোতাদের কাছে এ ধরনের অনুষ্ঠান বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাই এতে সঙ্গীত পরিবেশনের ক্ষেত্রে বেশ যত্নবান হতে হয়। আজকের অনুষ্ঠানে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের রাগ বাগেশ্রী পরিবেশন করব। আমি মঞ্চে উঠব রাত ৯টায়।
উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের প্রতি তরুণদের আগ্রহ কেমন দেখছেন?
এত দিন অনেকে মনে করতেন, হাতেগোনা কিছু শ্রোতা উচ্চাঙ্গসঙ্গীত শোনেন। কিন্তু বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসব সেই ধারণা পাল্টে দিয়েছে বছর কয়েক আগে। সারারাত জেগে দলবেঁধে তরুণরা উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের সুরে মেতে ছিলেন। বিষয়টি শিল্পী ও আয়োজকদেরও নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছিল। উচ্চাঙ্গসঙ্গীত এখন আর নির্দিষ্ট গণ্ডি বা সীমানার মধ্যে নেই। এর পরিধি ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মাঝে।
ঠুমরি গানের অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন। ঠুমরি নিয়ে কাজের উৎসাহ কীভাবে পেলেন?
আমাদের দেশে ঠুমরি খুব একটা পরিচিত নয়, সচরাচর ঠুমরির সিডিও পাওয়া যায় না। আমার স্বপ্ন ছিল এমন গানের একটি অ্যালবাম প্রকাশের। অ্যালবামের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে অনেক সময় নিয়েছি। অ্যালবাম প্রকাশের পেছনে ওস্তাদ সাবিল হোসেন খান ও রওশন আলী অনেক সহযোগিতা করেছেন।
অ্যালবামটি নিয়ে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের লঘু শাস্ত্রীয় সঙ্গীত হলো ঠুমরি। কৃষ্ণের প্রতি রাধার বিরহ বোঝানোর জন্যই ঠুমরি গানের প্রচলন হয়। এ ধরনের গান মূলত নারীরাই বেশি গেয়ে থাকেন। গানগুলোর মাধ্যমে প্রেমিকার বিরহের ভাব প্রকাশিত হয়। ‘ঠুমরি ভলিউম-১’ প্রকাশের পর গানগুলো শ্রোতামহলে আলাদা একটা স্থান তৈরি করে নেয়। এতে সর্বমোট ছয়টি গান আছে। এটি আমার চতুর্থ একক অ্যালবাম। এতে দাদরা, হরি, গীতসহ বেশ কিছু রাগ রয়েছে।