এখনকার মিউজিক সাগরের মতো- পন্ডিত যশরাজ
‘বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত উৎসবে আমি এই প্রথমবার এসেছি। এর আগে পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে এ উৎসব সম্পর্কে পড়েছি। যে অনুভূতি হয়েছে তার বহির্প্রকাশ ঘটবে আমার পরিবেশনায়। পারফরমেন্স সম্পর্কে আগে কিছু বলা যায় না, ভাল হবে কি মন্দ হবে। স্পিরিচুয়াল বলতে একটা জিনিস আছে, সেটা গান-বাজনায় থাকে আর দিনে দিনে বেড়ে যায়। আগেকার মিউজিক ছিল হিমালয়ের মতো আর এখনকার মিউজিক সাগরের মতো। সাজা-বাজা কেশ ইয়ে বাংলাদেশ’- এ কথা বলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী পন্ডিত যশরাজ। রাজধানীর আবাহনী মাঠে আয়োজিত বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত উৎসবের চতুর্থ রজনী আজ শুক্রবার শেষ প্রহরে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন তিনি। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে। এতে পন্ডিত যশরাজের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন তার কন্যা ও সরদ বাদক আবীর হোসেন।
পন্ডিত যশরাজ আরও বলেন, উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত গুরুমুখী বিদ্যার পাশাপাশি চর্চার বিষয়। মিউজিকের কোন দেশভাগ নেই। তবলা থেকে কণ্ঠসঙ্গীতে আসা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি প্রথম জীবনে খুবই ভাল তবলা বাজাতাম। মনের ভাললাগা থেকেই কণ্ঠসঙ্গীতে এসেছি। এর অর্থ এই নয় যে, তবলা আমি ভালবাসি না। সঙ্গীতের কম্পোজিশন সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি মনে করি প্রত্যেকের মধ্যে কম্পোজিশন আছে। এর প্রয়োগের ক্ষেত্রে সজাগ থাকতে হবে। সঙ্গীতের স্বর্ণযুগ সম্পর্কে তিনি বলেন, সঙ্গীতের গোল্ডেন পিরিয়ড সব সময়ই চলমান। এ সম্পর্কে আমি যেটা ভাবছি তাই শেয়ার করছি।
সরদ বাদক আবীর হোসেন বলেন, আমরা সুরের মাধ্যমে আসি ইমাজিনেশনের পাওয়ার দিয়ে। রাগের মাধ্যমে সেই ক্রিয়েশন প্রেজেন্ট করি। বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত উৎসব সম্পর্কে তিনি বলেন, এর আগে আমি দুইবার এই উৎসবে বাজিয়েছি। এত সুন্দর অর্গানাইজ আমি আর কোন উৎসবে দেখিনি। এখানকার আতিথেয়তাসহ সব কিছু খুবই সুন্দর। প্রতি বছর আমিসহ অনেকেই এই উৎসবের জন্য অপেক্ষায় থাকি। প্রথম দিকে যখন শুনলাম বেঙ্গল উৎসব এবার হচ্ছে না সত্যিই মনটা খুব খারাপ হয়েছিল। অনেক দুঃখ পেয়েছিলাম। পরবর্তীতে যখন শুনলাম হচ্ছে, কিন্তু অন্য জায়গায়, মনটা আনন্দে ভরে গেল। শিল্পী আবীর হোসেন উৎসবের তৃতীয় রজনীতে সেতার বাজিয়ে শ্রোতা-দর্শকদের মুগ্ধ করেন।