এত সঙ্গীত অনুরাগী তোথাও দেখিনি
রনু মজুমদার। ভারতের প্রতিষ্ঠিত বাঁশিশিল্পী। আজ তিনি ‘বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসব’-এর ষষ্ঠ আসরে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন। তৃতীয়বার এ উৎসবে অংশ নেওয়াসহ অন্যান্য বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি-
এ নিয়ে তৃতীয়বার ‘বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসব’-এ অংশ নিলেন। উৎসব নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা জানতে চাই।
অভিজ্ঞতা ভালো না হলে কি আর বারবার এ উৎসবে অংশ নিতাম? মনে হয় না। বিশ্বাস করেন বা নাই করেন, আমার কাছে এটাই সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং বড় উৎসব। পৃথিবীর কোথাও উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের এমন উৎসব চোখে পড়েনি। অর্ধ লাখ দর্শকের সামনে সঙ্গীত পরিবেশনের অভিজ্ঞতা কম শিল্পীরই হয়। বিশেষ করে যারা শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সাধনা করেন। এত সঙ্গীত অনুরাগী কোথাও দেখিনি!
তাহলে কি ধরে নেওয়া যায় আগামীতেও শুদ্ধ সঙ্গীতের এ আসরে আপনার দেখা মিলবে?
আমি তো বারবার আসতে চাই। শুধু উৎসব উপলক্ষে নয়; বাংলাদেশ আমার পূর্বপুরুষের দেশ বলেও। আমার দাদা রায়বাহাদুর বসন্ত কুমার মজুমদার ছিলেন ফরিদপুরের জমিদার। আমার স্ত্রীর পূর্বপুরুষও এদেশের। তাই শিকড়ের একটা টান সব সময় অনুভব করছি। আমি যে মাইহার ঘরানার সঙ্গীত পরিবেশন করি, সে সঙ্গীতের শিকড়ও এদেশের। এ জন্য আমি বানারসে জন্মগ্রহণ করলেও শিকড়কে কখনও উপেক্ষা করিনি। শিকড়ের টানেই এদেশে আসতে চাই।
আপনার বাবা ভানু মজুমদার লোকগানের অনুরাগী ছিলেন। কিন্তু আপনি উচ্চাঙ্গসঙ্গীতে আকৃষ্ট হলেন কীভাবে?
অস্বীকার করছি না, আমার বাবা লোকগানের অনুরাগী ছিলেন। ভালো ভাটিয়ালি গাইতেন। তার পরও ভিন্ন ঘরানার সঙ্গীতের প্রতি দুর্বল ছিলেন তিনি। বাবার কাছে আমার সঙ্গীতের হাতেখড়ি। তার মতো আমারও লোকগানের প্রতি দুর্বলতা আছে। কিন্তু শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে যে সুধা, তা একেবারে আলাদা। তাই একটির সঙ্গে আরেকটির তুলনা চলে না। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে বলেই আজও এর সাধনা করে যাচ্ছি।
শুনলাম, আজ যুগলবন্দি পরিবেশন করবেন?
হ্যাঁ, দেবজ্যোতি বোসের সরদ বাদনের সঙ্গে বাঁশির যুগলবন্দি তুলে ধরার ইচ্ছা আছে। দুটি আলাদা বাদ্যের সঙ্গীত কীভাবে এক হয়ে মিশে যায়- আজ তা দর্শক-শ্রোতার সামনে তুলে ধরতে চাই।