Menu

এল সুব্রক্ষ্যণনের বেহালার সুরে মোহিত দর্শক-শ্রোতা

উৎসবের প্রথমদিন বেহালার সুরের মূর্ছনায় শ্রোতাদের মোহিত করেন দেশীয় ধ্রুপদসঙ্গীত, অর্কেস্ট্রা, ব্যালে, চলচ্চিত্র গীতিকার ও পরিচালক হিসেবে বিশ্ব পরিচিত ড. এল সুব্রক্ষ্যণন। এ ছাড়া তিনি একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বেহালাবাদক। শাস্ত্রীয়, কর্ণাটিক, জাজ ফিউশন, ইন্দো জাজ, ওয়ার্ল্ড ফিউশন, পশ্চিমা সঙ্গীত বিশারদ। পাঁচ বছর বয়সে তার সঙ্গীতে হাতেখড়ি হয় বাবা অধ্যাপক ভি লক্ষ্মীনারায়ণের কাছে। ছয় বছর বয়সে জনসমক্ষে বেহালা বাজিয়ে শোনান। ভারতের চেন্নাইতে এক যন্ত্রসঙ্গীত পরিবারে ১৯৪৭ সালের ২৩ জুলাই তার জন্ম। শুধু বাবা ভি লক্ষ্মীনারায়ণই নন, মা সীতালক্ষ্মী, দুই কাকা রামনন্দ রাঘবন, রামনন্দ কৃষ্ণ, ভাই সবাই যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পী। তিনি অনেক গুণী সঙ্গীত শিল্পী কে ভি নারায়ণস্বামী, সামানগুডি শ্রীনিবাস আইয়ার, ড. বালমুরালী কৃষ্ণের সঙ্গে বেহালা সঙ্গীত করেন। স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন ১৯৬৩ সালে রাষ্ট্রপতি পদক, ১৯৮৮ সালে পদ্মশ্রী, ২০০১ সালে পদ্মভূষণ পুরস্কার। এছাড়াও তিনি পেয়েছেন ২০১১ সালে উত্তমভোগ গেইকার জিয়ালাল বসন্ত, ২০১১ সালে বিগস্টার আইএমএ পুরস্কার, সঙ্গীত নাটক একাডেমির ক্রিয়েটিভ মিউজিক অ্যাওয়ার্ড ও ২০১০ সালে গ্লোবাল ইন্ডিয়ান মিউজিক একাডেমি প্রদত্ত সেরা কর্ণাটক যন্ত্রসঙ্গীত অ্যালবামের জন্য পুরস্কার। গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের জন্যও তিনি মনোনীত হন। ২০১৬ সালে আইটিএম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডি.লিট, ২০১২ সালে লিমকা বুক অব রেকর্ডসের আজীবন সম্মাননা, ব্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। সঙ্গীতচর্চার পাশাপাশি তিনি মাদ্রাজ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি পশ্চিমা শাস্ত্রীয় সঙ্গীতেও এমএ করেন।