Menu

‘এ দেশের মানুষ জানেন কীভাবে শিল্পীকে সম্মান জানাতে হয়’

thumbnail

আবির হোসেন। ভারতের আলোচিত সরোদশিল্পী। ‘বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসব ২০১৭’-এ তার অনবদ্য সরোদবাদন মুগ্ধ করেছে অগণিত দর্শক-শ্রোতাকে। এই উৎসব ও অন্যান্য বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি-

বেঙ্গল আয়োজিত উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসবে আপনি আগেও এসেছেন। সে অভিজ্ঞতা থেকে জানতে চাই আমাদের এ আয়োজন কেমন মনে হয়?

এক কথায় অসাধারণ। উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের এত বড় আসর কোথাও চোখে পড়ে না। সে কারণেই ঢাকায় প্রথম পা রাখার দিন থেকে শুরু করে ফিরে যাওয়ার প্রতিটি মুহূর্ত স্মরণীয় হয়ে আছে। এ দেশের মানুষ জানেন কীভাবে শিল্পীকে সম্মান জানাতে হয়। প্রথমবার বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসবে অংশ নিয়েই বুঝেছি বাঙালি কতটা সঙ্গীত পূজারি।

আপনার সমসাময়িক অনেকে রক, পপ কিংবা ফিউশন মিউজিকের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। কিন্তু উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের প্রতি আকৃষ্ট হলেন কীভাবে?

আমার বাবা গোলাম ইমাম এবং মা মিনাক্ষী ইমাম দু’জনেই ক্ল্যাসিকাল সঙ্গীতশিল্পী। আমরা বর্ধমানের বাসিন্দা। সেখানকার বিখ্যাত উচ্চাঙ্গসঙ্গীত শিল্পী পণ্ডিত দিতি জোসি। তিনি সেতারশিল্পী হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছিলেন। কিন্তু হাতের সমস্যা দেখা দিলে সেতার বাজানো ছেড়ে দিয়েছিলেন। পরে তিনি উচ্চাঙ্গসঙ্গীত শেখানো শুরু করেন। পরিবার আর পণ্ডিত দিতি জোসির সান্নিধ্যে থেকেই উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের প্রতি আকর্ষণ জন্মেছিল। উচ্চাঙ্গসঙ্গীত চর্চা করলেও আমি সব ধরনের গানই শুনি।

শিল্পী হওয়ার সিদ্ধান্ত কি ছোটবেলায় নেওয়া?

গান-বাজনার মধ্যে আমার বেড়ে ওঠা। যে জন্য এর বাইরে অন্যকিছু করার কথা ভাবতেও পারতাম না। শিল্পী হতে পারব কী পারব না- তা নিয়ে কখনও ভাবিনি। আবার বেঁচে থাকার জন্য গান-বাজনার বাইরে অন্য কিছু করার পরিকল্পনাও ছিল না। এখনও নেই।

সঙ্গীত ধ্যান-জ্ঞান হয়ে ওঠার পেছনে কারও প্রভাব ছিল?

ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলী খান এবং ওস্তাদ বিলায়েত খাঁর অনবদ্য সঙ্গীত আমার মনে দারুণ প্রভাব ফেলেছে।

 

View Full Article