ওড়িশি নৃত্যে শুরু শেষ দিনের পরিবেশনা
পাঁচ দিনব্যাপী আয়োজিত ‘বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত উৎসব’র ষষ্ঠ আসরের শেষ দিনের পরিবেশনার শুরুতেই ছিল বিদূষী সুজাতা মহাপাত্রের ওড়িশি নৃত্য।
অর্ধনারীশ্বর ও রামায়ন লঙ এই দুই পর্বে বিভক্ত ছিল নাচের এই পরিবেশনাটি। রাগমল্লিকা ও তালমল্লিকা ভিত্তিক প্রথম পর্ব অর্ধনারীশ্বরের কোরিওগ্রাফি ও নৃত্য রচনায় ছিলেন পদ্মবিভূষণ গুরু কেলুচরণ মহাপাত্র। সংগীতে ছিলেন পদ্মশ্রী রঘুনাথ পানিগ্রাাহী ও পণ্ডিত ভূবনেশ্বর মিশ্র। ওড়িশি রামায়ণ থেকে নেওয়া দ্বিতীয় পর্ব ‘রামায়ণ-লঙ’ এর কোরিওগ্রাফিতে ছিলেন পদ্মবিভূষণ গুরু কেলুচরণ মহাপাত্র। সংগীতে ছিলেন পণ্ডিত ভূবনেশ্বর মিশ্র। নৃত্যনাট্যটিতে সুজাতা মহাপাত্রের সহশিল্পী ছিলেন সৌম্য বোস। বাঁশিতে ছিলেন সৌম্যরঞ্জন যোশি, রূপক কে পারিদা, বেহালায় রমেশ চন্দ্র দাস, পাখোয়াজে একলব্য মুদুলি এবং আলোক সঞ্চালনায় জয়দেব দাস।
উদ্বোধনী এই পরিবেশনাটি শেষে শিল্পীদের হাতে উৎসবের সম্মাননা স্মারক তুলে দেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
এরপর মোহন বীণা পরিবেশন করবেন পণ্ডিত বিশ্বমোহন ভট্ট। এ ছাড়া থাকছে ব্রজেশ্বর মুখার্জির খেয়াল; পণ্ডিত কুশল দাস ও কল্যাণজিত দাস এবং পণ্ডিত কৈবল্য কুমারের সেতার। সবশেষে থাকছে পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার বাঁশি।
গত চার দিনে আসর মাতিয়েছেন ড. এল সুব্রহ্মন্যণ, বিদূষী পদ্মা তালওয়ালকর, রাকেশ চৌরাসিয়া, পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা, পণ্ডিত উলহাস কশলকর, ওস্তাদ শাহিদ পারভেজ খাঁ, পণ্ডিত রণু মজুমদার ও পণ্ডিত দেবজ্যোতি বোস, বিদ্বান ভিক্ষু বিনায়করাম, পণ্ডিত উদয় ভাওয়ালকর, কলা রামনাথ এবং পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার, ড. মাইশুর মঞ্জুনাথ, সাসকিয়া রাও দ্য-হাস এবং পণ্ডিত বুধাদিত্য মুখার্জির মত গুণীরা।
গত পাঁচ বছর ধরে আয়োজিত ‘বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব’ শিল্পী ও দর্শকের অংশগ্রহণের নিরিখে এরই মধ্যে এই উপমহাদেশ তথা বিশ্বের সর্বাধিক বড় পরিসরের উচ্চাঙ্গ সংগীতের আসর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।