Menu

ওয়াহিদুল হক

thumbnail

সংগীতসাধক ওয়াহিদুল হক এদেশে উচ্চাঙ্গসংগীতের প্রচার ও প্রসারে গুরম্নত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এবং পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেছেন। এই সংগীতধারা সম্পর্কে তাঁর পঠন-পাঠন ও বিসত্মৃত জ্ঞানের পরিধি এবং ধ্রম্নপদী সংগীতের চর্চা তাঁর সংগীতজীবনকে মহত্তম বোধে উজ্জীবিত করেছিল। তিনি এ সংগীতের মধ্য দিয়ে মানুষের শিল্পিত ধ্যানকে উচ্চতর বোধে পৌঁছে দিতে সর্বদা উৎসাহী ছিলেন। বাংলাদেশে শুদ্ধ সংগীতের প্রচারে তিনি একদা রীতিমতো আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন।  উচ্চাঙ্গসংগীতের চর্চা ও সাধনা তাঁর সংগীতভুবনকে যেমন সমৃদ্ধ করেছে, তেমনি তাঁর অগণিত শিক্ষার্থী এই মহত্তম ধারায় অবগাহন করেছে। তাঁর সংগীতশিক্ষায় উচ্চাঙ্গসংগীত ছিল প্রাণভোমরার মতো।

 

তিনি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনে ও অভিযাত্রায় ছিলেন অগ্রণী ব্যক্তিত্ব। যে-কোনো সাংস্কৃতিক সংকটে তিনিই ছিলেন এক পরম সহায়। বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবার্ষিকী বিরূপতার মধ্যে তাঁরই উদ্যোগে পালিত হয়েছিল ও পরবর্তীকালে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট তাঁরই প্রয়াসে গঠিত হয়েছিল। এই সংগীতসাধক বাংলাদেশে শুদ্ধ সংগীতচর্চা, সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও রবীন্দ্র-রম্নচি ও ভাবনাকে সমাজজীবনে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যে প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন তা হয়ে উঠেছিল প্রাণের আবেগে।

 

বেঙ্গল আইটিসি এসআরএ উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব ২০১২-এর প্রথম দিন এই মহৎ মানুষকে স্মরণ করে উৎসর্গ করা হলো।