তিন তালে কত্থক নৃত্যের বিভিন্ন পর্যায় তুলে ধরব
প্রথমবারের মতো শাস্ত্রীয় সঙ্গীত উৎসবে অংশগ্রহণ করছেন, কেমন লাগছে?
বাংলাদেশে এ রকম আয়োজন যেহেতু একটাই, সবারই ইচ্ছা থাকে এতে অংশগ্রহণ করার। আমাকে এ বছর সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এবার ভালো লাগাটা একটু বেশি এ কারণে যে, আমার নিজ হাতে তৈরি ৩০ শিক্ষার্থী আজ আমার সঙ্গে মঞ্চে উঠবে। তারা প্রত্যেকেই আমার কাছে অনেক বছর ধরে শিখছে। আজকের পরিবেশনায় কী থাকছে?
আজ তিন তালে কত্থক নৃত্যের বিভিন্ন পর্যায় তুলে ধরব। প্রথমে গুরুবন্দনা দিয়ে শুরু করব। তার পর বিলম্বিত লয়ে থাট, পরণ, পরমেলু, বিভিন্ন টুকরা ও তোড়া তুলে ধরব। মধ্যম লয়ে পরণ, তেহাই, ঠুমরি এবং দ্রুত লয়ে চক্করের কারিগরি দিকগুলো পরিবেশন করব। এর বাইরে ব্যক্তিগতভাবে আমার কিছু কাজ দেখানোর ইচ্ছা আছে।
এই প্রযোজনার সঙ্গীতে কারা থাকছেন?
সঙ্গীতের মূল পরিকল্পনায় অনেকেই আছেন। এর মধ্যে তবলায় সুবীর ঠাকুর, সরোদে সুনন্দ মুখার্জি, বাঁশিতে মনিরুজ্জামান এবং কণ্ঠে সাহায্য করেছে স্বরলিপি। ও আমার সঙ্গে গুরুবন্দনা ও ঠুমরি অংশে কণ্ঠ দেবে।
শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা নিয়ে কী আশা করছেন?
আসলে শিক্ষার্থী হলেও তারা নিজ নিজ অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত নৃত্যশিল্পী। নিভৃতে থেকে আমি তাদের তৈরি করেছি। তাদের প্রত্যেকেই ভালো নৃত্যশিল্পী বলে আমি মনে করি। মহড়ায় সবাই নিজের সর্বোচ্চ পরিশ্রম করেছে। মঞ্চে তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারব বলে আমার বিশ্বাস।
অভিনয়ের কী খবর?
এখন নৃত্যের কারণে অভিনয়ে কিছুটা সময় কম দেওয়া হচ্ছে। তারপরও বেশ কয়েকটি নাটকে কাজের কথা হয়েছে। এগুলো করব।