Menu

‘নিজেকে সমর্পণ করতে না পারলে গান হবে না’

পণ্ডিত বিশ্বমোহন ভট্ট মোহনবীণা বাদক। গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডজয়ী এই সংগীতজ্ঞের বাড়ি ভারতের রাজস্থানের জয়পুরে। ৬৭ বছর বয়সে দাঁড়িয়ে এই ধ্রপদি সংগীতশিল্পী। টানা ৫০ বছর নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন এই জগতের সঙ্গে। বেঙ্গল ফাউন্ডেশন আয়োজিত উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবে যোগ দিতে বর্তমানে ঢাকায় এই সংগীত ব্যক্তিত্ব।

রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ধ্রপদি সংগীত নিয়ে কথা বলেন পণ্ডিত বিশ্বমোহন ভট্ট। আগের রাতে ধানমণ্ডির শেখ কামাল আবাহনী মাঠে উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবে তিনি মোহনবীণা বাজিয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন। পণ্ডিতজি বলছিলেন, ‘সংগীত এমন একটি বিষয়, যার কাছে নিজেকে পুরোপুরিভাবে সমর্পণ করতে না পারলে সাধনা হয় না। গুরুর কাছে হোক আর সৃষ্টিকর্তার কাছে হোক—নিজেকে সমর্পণ করতে হবে। তবেই আপনি ধ্রুপদি সংগীতের মাহাত্ম্য অনুধাবন করতে পারবেন।’

উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব উপলক্ষে প্রথমবারের মতো ঢাকায় এসেছেন আরেক সংগীত ব্যক্তিত্ব পণ্ডিত কৈবল্যকুমার কণ্ঠশিল্পী। তিনি কিরানা ঘরানার গান করেন। টানা ৪০ বছর ধরে দেশ-বিদেশে পারফর্ম করে শ্রোতাদের মন্ত্রমুগ্ধ করে আসছেন। বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবের ষষ্ঠ আসরের শেষ রজনীতে গতকাল রাতে তিনি ধ্রুপদি সংগীত পরিবেশন করেন।

পণ্ডিত কৈবল্যকুমারের জন্ম সংগীত পরিবারে। দাদা জ্ঞানপাত্র বুড়ো আবদুল করিম খানের শিষ্য ছিলেন, যিনি কিরানা ঘরানার প্রতিষ্ঠাতা। এরপর তাঁর বাবা সংগীতের সঙ্গে যুক্ত হন। তিন পুরুষ ধরে তাঁরা সংগীতকে ধ্যান-জ্ঞান সাধনা করে চলেছেন। পড়ালেখা করেছেন প্রকৌশলবিদ্যায়। বিনয় প্রকাশ করে এই সংগীতজ্ঞ বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি নিজেকে সমর্পণ করতে। এখনো পারিনি। চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবে যোগ দিতে ঢাকায় আসা সংগীতজ্ঞদের আরেকজন ব্রজেশ্বর মুখার্জী। ভারতের কলকাতার এই কণ্ঠশিল্পী হিন্দুস্তানি ধ্রপদি সংগীত করেন। খুব ছোটবেলায়ই পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। এর আগেও তিনি বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবে যোগ দিতে ঢাকায় এসেছেন। আর খেয়াল পরিবেশনের মাধ্যমে মুগ্ধ করেছেন হাজারো শ্রোতাকে। শুক্রবার রাতে উৎসবে তিনি গেয়েছেন। গতকাল সকালে বলছিলেন, ‘গুরু সব সময় বলতেন—আমার কাছে শিখছ। কিন্তু গাওয়ার সময় নিজের মতো

করে গাইবে। নইলে তো সবাই

অজয় চক্রবর্তীকে শুনবে; তোমাকে শুনবে না।’

View Full Article