Menu

পণ্ডিত উল্লাস কশলকারের সুরের মাতম

উৎসবের আকর্ষণীয় দিক ছিল পণ্ডিত উল্লাস কশলকারের সুর ঝংকার। কণ্ঠে সুরের মাতম তুলে মুহূর্তেই বশ করে নেন উপস্থিত হাজার হাজার দর্শক-শ্রোতার মন। এরপর নিবিষ্ট মনে কণ্ঠে সুর তুলে নিজের পাণ্ডিত্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটান এ ভারতীয় শিল্পী। পণ্ডিত উল্লাস কশলকারের জন্ম এক সঙ্গীত পরিবারে, ১৯৫৫ সালের ১৪ জানুয়ারি ভারতের নাগপুরে। কণ্ঠসঙ্গীতে তার হাতেখড়ি বাবা এনডি কশলকারের কাছে। তার বাবা পেশায় একজন আইন ব্যবসায়ীও। পণ্ডিত রাম মারাঠে ও পণ্ডিত গজাননবুয়া যোশীর কাছে তিনি তালিম নেন। এছাড়া তিনি রাজাভাউ কগজে এবং পি এন খারদেনাভিসের কাছে কিছুদিন তালিম নেন। মুম্বাই স্টেশন অল ইন্ডিয়া রেডিওতে তিনি প্রোগাম নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গোয়ালিয়র, জয়পুর এবং আগ্রা ঘরানার একজন ধারক ও বাহক। ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সঙ্গীত পরিবেশন করে তিনি সবার প্রশংসা অর্জন করেন। তিনি ভারতের রাজস্থান টুকাড জিমহারাজ নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সঙ্গীতে এম এ ডিগ্রি লাভ করেন। উচ্চাঙ্গসঙ্গীতে অবদানের জন্য পণ্ডিত উল্লাস কশলকার ২০১০ সালে পদ্মশ্রী, যদুভট্ট পুরস্কার, স্বররতœ পুরস্কার ও ২০০৮ সালে সঙ্গীত নাটক একাডেমি অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। জগৎ গুরু শঙ্কাচার্য তাকে গান তপস্বী খেতাবে ভূষিত করেছেন। গুরু হিসেবে দীর্ঘদিন আইটিসি সঙ্গীত রিসার্চ একাডেমির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। তিনি বেঙ্গল পরম্পরা সঙ্গীতালয়ের প্রধান গুরু।