Menu

‘বাণীপ্রধান নয়, ভাব ও ছন্দপ্রধান রবীন্দ্রনৃত্য’

thumbnail শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়। নৃত্যশিল্পী ও পরিচালক। আজ থেকে বেঙ্গল আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক শাস্ত্রীয় সঙ্গীত উৎসব-২০১৬’-এর উদ্বোধনী পর্বে থাকছে তার পরিচালনায় নৃত্যনন্দনের পরিবেশনা ‘রবি করোজ্জ্বল নৃত্য মলি্লকা’। শাস্ত্রীয় নৃত্যের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের মূল গান ও ভাঙা গান [শুদ্ধরাগ থেকে যে গান] নিয়ে সাজানো এ আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন প্রায় ৪০ জন নৃত্যশিল্পী। আজকের পরিবেশনা ও উৎসব নিয়ে কথা বললেন তিনি…

প্রথমবারের মতো ‘শাস্ত্রীয় সঙ্গীত উৎসব’-এ অংশগ্রহণ করছেন, কেমন লাগছে?

ভালো তো অবশ্যই লাগছে, কারণ এটি আমার জন্য একটি বড় সৌভাগ্য। তবে কিছুটা ভয়ও লাগছে। বেঙ্গলের এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করে মনে হচ্ছে, আরও বেশি নাচ নিয়ে কাজ করি। সামনে এগিয়ে যাওয়ার নতুন প্রেরণা সৃষ্টি হলো।

আজকের পরিবেশনাটি কীভাবে সাজিয়েছেন?

আজকের পরিবেশনার জন্য কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান বেছে নিয়েছি। কারণ রবীন্দ্রনাথ তার গানে কর্ণাটকী ও দক্ষিণ ভারতের অনেক শাস্ত্রীয় সুর ব্যবহার করেছেন। এ গানগুলো হয়তো অনেকেরই অজানা। আমার কাছে মনে হয়, শাস্ত্রীয় সঙ্গীত চর্চায় রবীন্দ্রনাথের একটি বড় জায়গা আছে। তাই রবীন্দ্রনাথের মূল গান ও ভাঙা গান নিয়ে কাজ করা। যেমন কর্ণাটকের একটি রাগের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ‘বাসন্তী’ শিরোনামে একটি গান করেছেন। আবার তারানার সুরে ‘ঐ পোহাইলো রাতি’, দক্ষিণ ভারতীয় রাগে ‘নাচোতো ত্রিভঙ্গ’ শিরোনামে একটি গান আছে। আমি এ গানগুলো নিয়েছি এবং মূল গানের সঙ্গে মণিপুরি, ভরতনাট্যম, ওডিসি এবং কত্থক নাচের ব্যবহার করেছি। এ কারণেই এ পরিবেশনার নাম করেছি ‘রবি করোজ্জ্বল নৃত্য মলি্লকা’।

যেহেতু উদ্বোধনী নৃত্য, শুরুটা কীভাবে করছেন?

শুরুতে রবীন্দ্রনাথের একটি ভাঙা গানের সুরে প্রদীপের সাহায্যে একটা আলো নিয়ে আসতে চাইছি। আর মণিপুরি নাচকে যেহেতু রবীন্দ্রনাথ বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠা করেছেন, সেজন্য মণিপুরি নৃত্য আলাদা করে রেখেছি। আর সবার শেষে থাকবে ‘ঐ পোহালো তিমিরও রাতি’। আমরা চাইছি, আমাদের এ দেশে নতুন সূর্যের উদয় হোক। কলুষতা ঝেড়ে ফেলে আলোর পথে সবাই অগ্রসর হোক।

সঙ্গীতে কারা অংশ নিয়েছেন?

এ প্রযোজনার সঙ্গীত কলকাতা থেকে করা। যন্ত্র অনুষঙ্গ পরিচালনায় ছিলেন রাহুল চ্যাটার্জি। গানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন বুলবুল ইসলাম। বাংলাদেশের অদিতি মহসিন, প্রিয়াংকা গোপ, ছায়ানটের শিক্ষক সেমন্তী মঞ্জরী ও সেঁজুতি বড়ূয়াসহ অনেকে গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। বাংলাদেশের অনেক শিল্পী বর্তমানে যারা সঙ্গীতে পড়াশোনা করছেন, তারাও সাহায্য করেছেন। নাচেও রবীন্দ্রভারতীর কয়েকজন শিল্পী অংশগ্রহণ করছেন।

View Full Article