Menu

বারীন মজুমদার ১৯১৯-২০০১

thumbnail

পাবনার রাধানগরে এক সম্ভ্রামত্ম জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। সংস্কৃতিবান পরিবারে তাঁর বাবার উৎসাহে কলকাতার ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সংগীতে তালিম নেন। পরবর্তীকালে তিনি লক্ষেনŠর ম্যারিস মিউজিক স্কুল থেকে সংগীতশিক্ষা লাভ করেন। ওসত্মাদ ফৈয়াজ খাঁর কাছেও তালিম নেন। ১৯৪৭ সালে পাবনা ফিরে আসেন। ১৯৫৭ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সংগীত সম্মিলনে খেয়াল পরিবেশন করে বিপুল সমাদর লাভ করেন। সে বছরই ঢাকায় বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে রাগসংগীত শিÿক হিসেবে যোগ দেন। শিÿক হিসেবে অসাধারণ খ্যাতি অর্জনের পাশাপাশি পাঠ্যতালিকায় সংগীত অমত্মর্ভুক্তকরণে উদ্যোগী হয়ে ওঠেন। বারীন মজুমদার রাগসংগীতগুণী, সংগীত প্রশিÿক ও বিগত ষাটের দশকে বাংলাদেশের একমাত্র সংগীত কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৬৩ সালের নভেম্বর মাসে কাকরাইলে সে সময় দেশের একমাত্র সংগীত মহাবিদ্যালয় স্থাপন করেন। বাংলাদেশে উচ্চাঙ্গসংগীতের প্রচার ও প্রসারে বারীন মজুমদারের অবদান অবিস্মরণীয়। তাঁর অবদানের জন্য পাকিসত্মান আমলে তমগা-ই-ইমতিয়াজ ও স্বাধীনতার পরে একুশে পদক, কাজী মাহ্বুবুলস্নাহ স্বর্ণপদক, রবীন্দ্রপদক, শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কারসহ মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।
বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব ২০১৩-এর দ্বিতীয় দিনের অধিবেশন এই মহৎ মানুষকে স্মরণ করে উৎসর্গ করা হয়েছে।