Menu

বারে বারে এমন আয়োজনে ফিরে আসতে চাই : শশাঙ্ক সুব্রক্ষ্যণন

উৎসবের তৃতীয় দিনের বিশেষ আকর্ষণ ছিলেন বংশীবাদক শশাঙ্ক সুব্রক্ষ্যণন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই তিনি উৎসব আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, ‘বাংলাদেশে এমন একটি আয়োজনে অংশ নিতে পেরে আমি সত্যিই গর্বিত। এখানকার শ্রোতারা অনেক বেশি সঙ্গীত অনুরাগী। বারে বারে এমন আয়োজনে ফিরে আসতে চাই।’ সূচনা পর্ব শেষে রাগ পূরবী কল্যাণী দিয়ে শুরু করেন তিনি। তার বাঁশির সুরে দর্শক বিমোহিত। টানা পারফর্মেন্স শেষ করলেন ট্র্যাডিশনাল কম্পোজিশন দিয়ে। ভারতের কর্নাটকি সঙ্গীতরীতির একজন বিশিষ্ট বংশীবাদক হিসেবেই পরিচিত তিনি। জন্ম ১৯৭৮ সালের ১৪ অক্টোবর ভারতের রুদ্রপাটনায়। বাবা সুব্রক্ষ্যণনের কাছে বাঁশিতে তার হাতেখড়ি। তিনি আর কে শ্রীকান্তন, পালঘাট কে.ভি নারায়ণস্বামী ও পণ্ডিত যশরাজের কাছে তালিম নেন। মাত্র ছয় বছর বয়সে ১৯৮৪ সালে শশাঙ্ক জনসমক্ষে প্রথম বাঁশি বাজিয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন। এরপর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক সফলতা এসেছে তার জীবনে। ১৯৯০ সালে তিনি আডেলেইড, অস্ট্রেলিয়া, কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে বাঁশি বাজিয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন। বারো বছর বয়সটি তার সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত হিসেবে স্বর্ণাক্ষরে লিখিত রয়েছে। এ প্রসঙ্গে বংশীবাদক শশাঙ্ক সুব্রক্ষ্যণন বলেন, ভারতের চেন্নাইয়ে মিউজিক একাডেমি আমাকে ১৯৯১ সালের ১ জানুয়ারি বাঁশি বাজাতে আমন্ত্রণ জানায়। জ্যেষ্ঠ বংশীবাদকদের সঙ্গে আমার ‘সাদাস কনসার্টে’ বাঁশি বাজানোর সুযোগ হয়। এটি ছিল আমার জীবনের পরম প্রাপ্তি।

শশাঙ্ক সুব্রক্ষ্যণন ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশিষ্ট শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী জন ম্যাক্লফলিন, পাকো দ্য লুচ্যা, জাকির হোসেন, সুলতান খান, বিশ্বমোহন ভট্, অজয় চক্রবর্তীসহ অনেক শিল্পীর সঙ্গে বাঁশি বাজান। ১৯৯৫ সাল থেকে তিনি আইসিসিআর-এর বিশেষ পর্যায়ে নিবন্ধিত। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের তুলসা ও মেমইফস নগরীর পক্ষ থেকে সিটি অ্যাওয়ার্ড। ১৯৯৫-৯৭ সালে পেয়েছেন রোটারি অ্যাওয়ার্ডস অব এক্সেলেস। তামিলনাড়– রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কলাইমামানি, শিকাগোর কেলগ স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট থেকে কুজহাল আরাসারসহ ২০০৯ সালে জন ম্যাক্লফলিনের সঙ্গে বাঁশি বাজানোর জন্য গ্র্যামির মনোনয়ন লাভ করেন। তার স্ত্রী শিরিষা সুব্রক্ষ্যণন একজন ভরতনাট্যম নৃত্যশিল্পী। তাদের দুই সন্তানের মধ্যে মেয়ে সওয়ারা এবং ছেলে সমভিত ভারতের চেন্নাইতে বসবাস করেন।