বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উত্সব পর্দা উঠছে আজ
পঞ্চমবারের মতো আয়োজিত বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উত্সব ’১৬-এর পর্দা উঠছে আজ। সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হককে উত্সর্গ করে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে পাঁচ দিনব্যাপী এই উত্সব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গত চার বছর ধরে আয়োজিত এ উত্সব শিল্পী ও দর্শকের অংশগ্রহণের বিচারে এরমধ্যে এই উপমহাদেশে তথা বিশ্বে সবচেয়ে বড় পরিসরের উচ্চাঙ্গসংগীত আসর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এবারের উত্সবে ধ্রুপদী সংগীতের নামকরা শিল্পীদের পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকেও ১৬৫ জন শিল্পী অংশ নেবেন। উত্সব প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরদিন ভোর ৫টা পর্যন্ত চলবে।
উত্সবে বিদেশি শিল্পীরা হলেন
প্রতিবারের মতো এবারও উত্সব মুখর করে তুলতে আসছেন বিদূষী গিরিজা দেবী, পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাশিয়া, পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা তার ছেলে রাহুল শর্মা, পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী। আসছেন বাংলাদেশের কিংবদন্তিতুল্য শিল্পী ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর নাতি ওস্তাদ আশিষ খাঁ, জাসরাঙ্গি পরিবেশন করবেন জয়পুর আত্রৌলির বিদূষী অশ্বিনী ভিদে ও মেওয়াতি ঘরানার পণ্ডিত অভয়ঙ্কর। পশ্চিমা ও কর্ণাটকী ঢংয়ের বেহালা বাজাবেন ড. এল সুব্রহ্মণ্যন। উত্সবে প্রথমবারের মতো ম্যান্ডোলিন ও বাঁশির যুগলবন্দি শোনাবেন গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড নমিনি বাঁশিশিল্পী পণ্ডিত রনু মজুমদার ও ম্যান্ডোলিনের রূপকার প্রয়াত ইউ শ্রীনিবাসের ভাই ইউ রাজেশ। ওড়িশি নৃত্য নিয়ে আসবেন বিদূষী মাধবী মুডগাল ও আরুশি মুডগাল। আরও আসছেন পণ্ডিত উল্লাস কশলকর, ওস্তাদ রশিদ খান, পণ্ডিত কুশল দাস, পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার, পণ্ডিত উদয় ভাওয়ালকার, ড. প্রভা আত্রে, তবলিয়া অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।
উত্সবে বাংলাদেশি শিল্পীরা হলেন
বাংলাদেশের ১৬৫ জন শিল্পী এবার উত্সবে অংশগ্রহণ করবেন। উত্সবের উদ্বোধনী পর্বে স্বনামধন্য নৃত্যশিক্ষক শর্মিলা বন্দোপাধ্যায়ের রচনা ও নির্দেশনায় নৃত্যনন্দন দলের প্রায় ষাটজন শিল্পী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূল গান ও ভাঙ্গা গানে মণিপুরী, ভরতনাট্যম, ওডিসি ও কত্থক রীতির রূপায়ণ পরিবেশন করবেন। প্রথিতযশা শিল্পী মুনমুন আহমদ তাঁর দল নিয়ে কত্থক পরিবেশন করবেন উত্সবের চতুর্থ দিন। বিশিষ্ট উচ্চাঙ্গসংগীত শিল্পী প্রিয়াংকা গোপ এককভাবে খেয়াল এবং তাঁরই নির্দেশনায় দলগতভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা শাস্ত্রীয়সংগীত পরিবেশন করবেন শেষ দিন। উত্সবের দ্বিতীয় দিন মোহাম্মদ শোয়েবের নির্দেশনায় শিক্ষার্থীরা দলীয়ভাবে নিরীক্ষামূলক রাগসংগীত উপস্থাপন করবেন। বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দিনে দলীয়ভাবে সেতার, সরোদ ও তবলা পরিবেশন করবেন।