Menu

বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবের নিবন্ধন শুরু

উপমহাদেশের শাস্ত্রীয় সংগীতের সাধকদের নিয়ে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে ঢাকার ধানমণ্ডিতে শুরু হচ্ছে ষষ্ঠ বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব। এ জন্য পাঁচ দিনের এই উৎসবের নিবন্ধন গতকাল সোমবার থেকে শুরু হয়েছে। জানা যায়, বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের ওয়েব সাইটে গিয়ে বিনামূল্যে নিবন্ধন করা যাবে। নিবন্ধনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা পাসপোর্ট নম্বর, মোবাইল নম্বর ও ই-মেইল আইডি লাগবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ধানমণ্ডি ৭/১-এর ১০ নম্বর বাড়িতে জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক বিদ্যাপীঠে গিয়েও নিবন্ধন করা যাবে। দুই ক্ষেত্রেই দর্শক-শ্রোতারা বিনামূল্যে তাদের পাস সংগ্রহ করতে পারবেন। এ বছর উৎসবটি ধানমণ্ডির আবাহনী মাঠে হওয়ায় বরাবরের মতো দর্শক সংকুলান হবে না। তাই নির্ধারিত সংখ্যার বাইরে গিয়ে নিবন্ধনের সুযোগ থাকছে না। উৎসবে অংশ নিতে হলে নিবন্ধন প্রক্রিয়া আগেভাগে শুরু করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। উৎসব প্রাঙ্গণে ঢুকতে প্রতিদিন এই পাস দেখাতে হবে। পাস ছাড়াও শনাক্তকরণ ফটো আইডি সঙ্গে রাখার জন্য অনুরোধ করেছেন আয়োজকরা। আগের মতো অনুষ্ঠানস্থলে নিবন্ধনের কোনো সুযোগ থাকছে না বলে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হবে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা, চলবে পরদিন ভোর ৫টা পর্যন্ত। প্রতিদিন রাত ১২টায় ফটক বন্ধ হয়ে যাবে। মাঠে একাধিকবার প্রবেশ করা যাবে না, একবার বের হয়ে গেলে সেদিন আর প্রবেশের সুযোগ থাকবে না। তবে দর্শক ধারণক্ষমতা সাপেক্ষে রাত ১২টার আগেও গেট বন্ধ করে দিতে পারেন তারা।

উৎসব সূচি
২৬ ডিসেম্বর: উৎসবের প্রথম দিনেই গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত বেহালা শিল্পী ড. এল সুব্রহ্মণ্যনের পরিবেশনা থাকছে। তার সঙ্গে থাকবে কাজাখাস্তানের ৫৮ শিল্পীর দল আসতানা সিম্ফনি ফিলহারমোনিক অর্কেস্ট্রার পরিবেশনা। এই আসরে রাজরূপা চৌধুরীর সরোদ-বাদনের পাশাপাশি খেয়াল পরিবেশন করবেন বিদূষী পদ্মা তালওয়ালকর। থাকবেন সেতার বাদক ফিরোজ খান ও পূর্বায়ন চ্যাটার্জি, খেয়ালিয়া সুপ্রিয়া দাস ও বংশীবাদক রাকেশ চৌরাসিয়া।
২৭ ডিসেম্বর: এদিন উৎসব শুরু হবে অদিতি মঙ্গলদাস ড্যান্স কোম্পানির কত্থক পরিবেশনায়। বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের শিক্ষার্থীদের তবলা বাদনের পর সন্তুর পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা, খেয়ালিয়া পণ্ডিত উল্লাস কশলকর, সেতার-ওস্তাদ শাহিদ পারভেজ খানের পরিবেশনা থাকছে দ্বিতীয় দিনের আসরে। ধ্রুপদ পরিবেশন করবেন অভিজিত, বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের বাঁশি, পণ্ডিত রনু মজুমদার সরোদ ও পণ্ডিত দেবজ্যোতি বোসের পরিবেশনাও থাকছে এদিন।
২৮ ডিসেম্বর: তৃতীয় দিনের পরিবেশনা শুরু হবে বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের শিক্ষার্থীদের সেতার-বাদনের মধ্য দিয়ে। এরপর ঘাটম ও কঞ্জিরা বাজিয়ে শোনাবেন বিদ্বান ভিক্ষু বিনায়ক রাম ও সেলভাগণেশ বিনায়ক রাম। ঢাকার সরকারি সংগীত কলেজের খেয়াল পরিবেশনার পাশাপাশি সরোদ পরিবেশন করবেন আবির হোসেন, বাঁশিতে থাকবেন গাজী আবদুল হাকিম। তৃতীয় দিনে ধ্রুপদ পরিবেশন করবেন পণ্ডিত উদয় ভাওয়ালকর, বেহালা-বাদনে বিদূষী কালা রামনাথ। এদিন খেয়াল পরিবেশন করবেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী।
২৯ ডিসেম্বর: উৎসবের চতুর্থ দিনে শুরুতেই থাকবে বাংলাদেশের একদল নৃত্যশিল্পীর পরিবেশনা। এদিন মনিপুরি, ভরতনাট্যম এবং কত্থক নৃত্য পরিবেশন করবেন সুইটি দাস, অমিত চৌধুরী, স্নাতা শাহরিন, সুদেষ্ণা স্বয়ংপ্রভা, মেহরাজ হক ও জুয়াইরিয়াহ মৌলি। সরোদ বাদনে থাকবেন বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের শিক্ষার্থীরা। খেয়াল পরিবেশন করবেন ওস্তাদ রাশিদ খান, সরোদ- পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার, বেহালা পরিবেশন করবেন মাইশুর মঞ্জুনাথ, খেয়াল পরিবেশন করবেন মেওয়াতি ঘরানার পদ্মবিভূষণ পণ্ডিত যশরাজ। চেলো ও সেতার বাজিয়ে শোনাবেন সাসকিয়া রাও দ্য-হাস ও বুদ্ধাদিত্য মুখার্জি।
৩০ ডিসেম্বর: উৎসবের শেষ দিনের পরিবেশনা শুরু হবে বিদূষী সুজাতা মহাপাত্রের ওড়িশি নৃত্য পরিবেশনায়। এদিন মোহন বীণা শোনাবেন পণ্ডিত বিশ্বমোহন ভট্ট, খেয়াল পরিবেশন করবেন ব্রজেশ্বর মুখার্জি, সেতার-বাজিয়ে শোনাবেন পণ্ডিত কুশল দাস, কল্যাণজিত দাস ও পণ্ডিত কৈবল্যকুমার। উৎসব শেষ হবে পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার বাঁশির সুরে।

 

View Full Article