Menu

রশিদ খানের আলাপে আবেগময়তা…

thumbnail
রশিদ খানের গান শোনার টান ছিল। তাই রাত যত গভীর হয়েছে মানুষের ভিড় বেড়েছে। রশিদ খান তাঁর গায়নে  বিশেষত্বের ছাপ রেখেছেন বিলম্বিত আলাপের আবেগময়তায়, বিস্তারের গভীরতায় ও তানের ব্যতিক্রমী দক্ষতায়। এ প্রতিভার গুণেই তিনি খুব অল্প বয়সেই কণ্ঠমাধুর্য ও গায়নশৈলীর জন্য সুনাম অর্জন করেছেন। তিনি রামপুর-সহসওয়ান ঘরানার শিল্পী এবং এনায়েত হোসেন খাঁর প্রপৌত্র ও ওস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খানের ভাগ্নে। শাস্ত্রীয় সংগীতে তালিম নেন নানা ওস্তাদ নিসার হোসেন খাঁ এবং মামা ওস্তাদ গোলাম মুস্তফা খাঁর কাছে। তাই গতকালের শিল্পীদের মাঝে রশিদ খানের গান শোনার প্রতি বেশি আগ্রহী ছিল শ্রোতাদের। তবে অন্য শিল্পীরাও কেউ কম যান না। ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীতের স্বনামধন্য শিল্পীরা একের পর এসে গানে, বাদনে মন ভরিয়ে দিয়েছেন শ্রোতা-দর্শকদের।
এই ব্যস্ত জীবনে বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের আসরটি বন্ধু-স্বজনদের একসঙ্গে গান উপভোগ করা ও  আড্ডার ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। গান শোনার ফাঁকে ফুডকোর্টে খাওয়া আর আড্ডা যেন এই উচ্চাঙ্গসঙ্গীত আসরের বাড়তি আগ্রহের কারণ হয়ে উঠেছে।
গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে সঙ্গীতপ্রেমীদের ঢল নেমেছিল আবাহনী মাঠে বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের এ উত্সবে। চতুর্থ দিনের আয়োজন শুরু হয় বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের শিল্পীদের  দলগত নৃত্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে। ‘নৃত্য চিরন্তন: মনিপুরি, ভারতনাট্যম, কত্থক নৃত্যার্ঘ’ শীর্ষক দুই পর্বে ভাগ করা এ পরিবেশনাটির নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন গুরু বিপিন সিংহ, পণ্ডিত বিরজু মহারাজ, শিবলী মোহাম্মদ; এবং ভাবনা, সার্বিক নৃত্য পরিচালনা ও সম্বনয়কারী হিসেবে ছিলেন শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়। নৃত্য পরিবেশনায় অংশ নেন সুইটি দাস, অমিত চৌধুরী, স্নাতা শাহরীন, সুদেষ্ণা স্বয়মপ্রভা, মেহরাজ হক তুষার এবং জুরাইরিয়াহ মৌলি। পরিবেশনা শেষে শিল্পীদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের। এরপরে সরোদ পরিবেশন করেন বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের শিক্ষার্থীরা। খেয়াল পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসবেন ওস্তাদ রশিদ খান ও প্লিত যশরাজ। এছাড়া থাকছে প্লিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদারের সরোদ ও ড. মাইশুর মঞ্জুনাথের বেহালার যুগলবন্দি, সাসকিয়া রাও দ্য-হাসের চেলো এবং প্লিত বুধাদিত্য মুখার্জির সেতার।
সংগীত উপভোগের পাশাপাশি খাবার ও পানীয়ের জন্য উত্সব প্রাঙ্গণে রয়েছে ফুড কোর্ট। পাশাপাশি উত্সব প্রাঙ্গণে চলছে বাংলাদেশের সংগীত সাধক ও তাদের জীবনী নিয়ে একটি সচিত্র প্রদর্শনী এবং বেঙ্গল ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেকচার, ল্যান্ডস্কেপস অ্যান্ড সেটেলমেন্টস এর ‘সাধারণের জায়গা’ শীর্ষক প্রদর্শনী। এ ছাড়া উত্সব প্রাঙ্গণে স্টল স্থাপন করেছে বেঙ্গল ডিজিটাল, বেঙ্গল এক্সপ্রেস, বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়, অরণ্য, বেঙ্গল ভিজ্যুয়াল আর্টস প্রোগ্রাম, বেঙ্গল বই, ব্র্যাক ব্যাংক ও স্কয়ার গ্রুপের।