শেষ রাতে বাঁশির সুর তুলবেন হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া
ধানমন্ডির আবাহনী মাঠে ২৬ ডিসেম্বর শুরু হওয়া বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব আজ শেষ হচ্ছে। স্কয়ার নিবেদিত ও ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগিতায় ষষ্ঠবারের মতো এ উৎসবের আয়োজন করেছে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন। এবারের উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে। শিল্পী ও দর্শকের অংশগ্রহণের নিরিখে এরই মধ্যে এ উৎসব উপমহাদেশ তথা বিশ্বের সর্বাধিক বড় পরিসরের উচ্চাঙ্গসংগীতের আসর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
চতুর্থ দিন উৎসবের শুরুতে মণিপুরি, ভরতনাট্যম ও কত্থক নৃত্য পরিবেশন করেন বাংলাদেশের শিল্পী সুইটি দাস, অমিত চৌধুরী, স্নাতা শাহরিন, সুদেষ্ণা স্বয়মপ্রভা, মেহরাজ হক ও জুয়াইরিয়াহ মৌলি। এরপর পর্যায়ক্রমে পরিবেশিত হয় বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের শিক্ষার্থীদের সরোদ বাদন, ওস্তাদ রাশিদ খানের খেয়াল পরিবেশন, প-িত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদারের সরোদ বাদন, ড. মাইশুর মঞ্জুনাথের বেহালা বাদন, প-িত যশরাজের খেয়াল পরিবেশন, সাসকিয়া রাও দ্য হাসের চেলো বাদন ও প-িত বুদ্ধাদিত্য মুখার্জির সেতার বাদন। আজ উৎসবের পঞ্চম দিন পরিবেশিত হবে বিদুষী সুজাতা মহাপাত্রের ওড়িশি নৃত্য, প-িত বিশ্বমোহন ভট্টের মোহন বীণা বাদন, ব্রজেশ্বর মুখার্জির খেয়াল, প-িত কুশল দাস ও কল্যাণজিত দাস সেতার বাদন, প-িত কৈবল্যকুমারের সেতার বাদন ও প-িত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার বাঁশি বাদন।
উৎসব শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়, চলবে ভোর ৫টা পর্যন্ত। যারা অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন, শুধু তারা উৎসবে প্রবেশ করতে পারবেন। রাত ১২টার পর অনুষ্ঠানে প্রবেশ করা যাবে না। উৎসব প্রাঙ্গণ থেকে একবার বের হলে আর প্রবেশ করা যাবে না। ব্যাগ, ক্যামেরা, পানির বোতল বা কোনো খাবার নিয়ে অনুষ্ঠানে প্রবেশ করা যাবে না। সংগীত উপভোগের পাশাপাশি খাবার ও পানীয়ের জন্য উৎসব প্রাঙ্গণে আছে ফুডকোর্ট। পাশাপাশি উৎসব প্রাঙ্গণে চলছে বাংলাদেশের সংগীত সাধক ও তাদের জীবনী নিয়ে সচিত্র প্রদর্শনী এবং বেঙ্গল ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেকচারের ল্যান্ডস্কেপস অ্যান্ড সেটলমেন্টসের ‘সাধারণের জায়গা’ শীর্ষক প্রদর্শনী। এছাড়া উৎসব প্রাঙ্গণে স্টল আছে বেঙ্গল ডিজিটাল, বেঙ্গল এক্সপ্রেস, বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়, অরণ্য, বেঙ্গল ভিজ্যুয়াল আর্টস প্রোগ্রাম, বেঙ্গল বই, ব্র্যাক ব্যাংক ও স্কয়ার গ্রুপের। আছে ব্র্যাক ব্যাংকের এটিএম বুথ। উৎসবের সবধরনের তথ্য জানা যাবে bengalclassicalmusicfest.com ওয়েবসাইটে।