Menu

শেষ হলো সুরের মেলা

রাজধানীর ধানমন্ডির আবাহনী মাঠে গেল ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল ৫ দিনব্যাপী বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসব। ধ্রুপদী গানের মায়াবী মূর্ছনা ছড়িয়ে আজ রোববার ভোর ৫টা পর্যন্ত চলে এ উৎসব। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ড. এল সুহ্মণ্যন এবং আসতানা সিম্ফনি ফিলহারমোনিকের অর্কেস্ট্রা পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। আর আজ বিখ্যাত বংশীবাদক হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার মায়াবী সুরে সাঙ্গ হয় ধ্রুপদী গানের এ মেলা। ৫ দিনের এ আয়োজনে মুখরিত ছিল আবাহনী মাঠ। সুরের মোহে ঘুম উপেক্ষা করে প্রতিদিন শহরবাসী দলে দলে ছুটে গেছেন উৎসব প্রাঙ্গণে। সঙ্গীতপ্রেমী ও শিল্পীদের পাশাপাশি ছিল হাজার হাজার সাধারণ শ্রোতা-দর্শনার্থীর ভিড়। তরুণ-তরুণীরা দলে দলে যোগ দিয়েছেন এ সুরের মেলায়। সুরের মূর্ছনা যেন ভুলিয়ে দিয়েছিল সবার ঘুম। রাত জেগে সবাইকে উপভোগ করতে দেখা গেছে একেকটি পরিবেশনা।

এটি বেঙ্গল উৎসবের ষষ্ঠ আসর। বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে প্রতিবার রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে এ উৎসব হলেও এবার অনুমতি মেলেনি। তাই উৎসব হয়েছে ধানমন্ডির আবাহনী মাঠে। এবারের উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছিল গবেষক, চিন্তাবিদ ও শিক্ষাবিদ ড. আনিসুজ্জামানকে।

উৎসবের শেষদিন ওড়িশি নৃত্য দিয়ে শ্রোতাদের স্বাগত জানান বিদুষী সুজাতা মহাপাত্র। এরপর মোহন বীণা নিয়ে মঞ্চে আসেন পন্ডিত বিশ্বমোহন ভট্ট। এরপর খেয়ালে মূর্ছনা ছড়ান ব্রজেশ্বর মুখার্জি।

ধারাবাহিকতায় সেতার নিয়ে আসেনন পন্ডিত কুশল দাস ও কল্যাণজিত দাস। সেতারের তালে শ্রোতাদের মাতিয়ে তোলেন পন্ডিত কৈবল্যকুমার গুরাভ। শেষরাতে মঞ্চে আসেন উৎসবে প্রধান আকর্ষণ হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া। বাঁশির অপূর্ব পরিবেশনা দিয়ে আগের বছরগুলো মাতিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন সুর পিপাসুদের অন্তর। তার বাঁশরির সুরের মূর্ছনা অন্তরে নিয়ে ঘরে ফেরেন শ্রোতারা।

সঙ্গীত উপভোগের পাশাপাশি খাবার ও পানীয়ের জন্য উৎসব প্রাঙ্গণে ছিল ফুডকোর্ট। পাশাপাশি উৎসব প্রাঙ্গণে ছিল বাংলাদেশের সঙ্গীত সাধক ও তাদের জীবনী নিয়ে একটি সচিত্র প্রদর্শনী এবং বেঙ্গল ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেকচার, ল্যান্ডস্কেপস অ্যান্ড সেটলমেন্টসের ‘সাধারণের জায়গা’ শীর্ষক প্রদর্শনী।

 

View Full Article