Menu

সংগীত বিভাগে উৎসবের আমেজ

কে কেমন করে চুল বাঁধবেন? পাঞ্জাবিগুলো কেমন হবে? মেয়েদের সবার কানের দুল কিন্তু হতে হবে একই রকম—মহড়ার শেষে এমন সব ‘গম্ভীর’ বিষয়ে আলাপ করছিলেন কয়েকজন তরুণ-তরুণী। তাঁরা দাঁড়িয়ে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে সংগীত বিভাগের বারান্দায়। ওদিকে আরেক দল শিক্ষার্থী পরের দিনের মহড়ার সময়সূচি জানার জন্য অস্থির হয়ে আছেন। সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীদের এমন অস্থিরতা-উত্তেজনা—সবই এবারের বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব ঘিরে। আজ থেকে শুরু হচ্ছে শাস্ত্রীয় সংগীতের বৃহৎ এ আসর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের ২৭ জন শিক্ষার্থী উৎসবের শেষ দিন অর্থাৎ ২৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় উঠবেন মঞ্চে। তাঁদের পুরো পরিবেশনার তত্ত্বাবধানে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রিয়াঙ্কা গোপ। সেই সঙ্গে মঞ্চে আরও থাকবেন বিভাগের দুজন তবলাশিক্ষক।
গত বুধবার সন্ধ্যায় সংগীত বিভাগে মহড়া শেষে কথা হয় প্রিয়াঙ্কা গোপের সঙ্গে। তিনি শোনান তাঁদের পরিবেশনার বৃত্তান্ত। বলেন, উৎসবের শেষ দিন সন্ধ্যায় মঞ্চে উঠবেন তাঁরা। তাই সেই সময়কে মাথায় রেখে পরিবেশনার জন্য রাগ ভূপালি বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রিয়াঙ্কা গোপ বলেন, ‘শুদ্ধ শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশন করব আমরা। গাইব তিন তালের বন্দিশে রাগ ভূপালি। শুদ্ধ শাস্ত্রীয় সংগীত দলীয়ভাবে পরিবেশন করা খুব কঠিন। সেই পরিবেশনার সঙ্গে আমরা যোগ করেছি তারানা, বিস্তার, তান সারগাম। পরিবেশনাটি হবে ২০ মিনিটের।’
উচ্চাঙ্গসংগীতের পঞ্চম এই আসরে প্রথমবারের মতো অংশ নিতে যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তাই এতে অংশ নেওয়া প্রত্যেকের মনেই এ নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বাস। সবাই মহড়া এবং মহড়া শেষে উৎসব প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সেভাবে কথা না বললেও, তাঁদের পরিবেশনার তত্ত্বাবধানে থাকা প্রিয়াঙ্কা গোপ বলেন, তাঁদের সেই অনুভূতি। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা দারুণ অধীর হয়ে আছেন মঞ্চে ওঠার জন্য। গান নিয়ে তাঁদের পরিশ্রম তো চোখে পড়ার মতো, সেই সঙ্গে পোশাক ও মঞ্চ-উপস্থিতি নিয়েও তাঁরা সজাগ। সবাই পরিবেশনার খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে দারুণ ভাবছেন। প্রিয়াঙ্কা গোপ বলেন, ‘আমাদের বিভাগে সত্যিকারের উৎসবের আমেজ লেগেছে। বিভাগীয় প্রধান থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকেই বেশ আনন্দিত। প্রায় দিনই মহড়ায় শুধু অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরাই নন, বিভাগের অন্য শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরাও অংশ নিচ্ছেন। তাঁরা আসছেন, আমাদের প্রস্তুতি দেখছেন, গান শুনছেন। এই আমেজটা খুব উপভোগ করছি আমরা।’