‘হরিপ্রসাদ চৌরাশিয়ার প্রভাব সব সময় আছে’
রাকেশ চৌরাশিয়া। ভারতের স্বনামধন্য বাঁশিশিল্পী। ‘বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসব-২০১৭’ বাঁশির অনিন্দ্য পরিবেশনা দিয়ে মুগ্ধ করেছেন দর্শককে। এ আয়োজন ও অন্যান্য বিষয়ে কথা হলো তার সঙ্গে-
বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসবের অভিজ্ঞতার কথা জানতে চাই?
আমি অভিভূত। উচ্চাঙ্গসঙ্গীত নিয়ে এমন আয়োজন খুব একটা চোখে পড়ে না। এত দিন শুধু শুনেছি, এবার প্রমাণ পেলাম, এ দেশে কী পরিমাণ সঙ্গীত অনুরাগী আছেন। যে কোনো আয়োজনে অংশ নেওয়ার সময় প্রত্যাশা থাকে, সেখানে অগণিত দর্শকের ভিড়, তাদের উচ্ছ্বাস, মন্ত্রমুগ্ধের মতো সঙ্গীতে ডুবে থাকা।
এই উৎসবে যা চোখে পড়েছে, তা ছিল প্রত্যাশার অনেক বেশি কিছু।
পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাশিয়ার সঙ্গে অনেকে আপনার বাঁশি বাদনের তুলনা করেন। বিষয়টা কীভাবে দেখেন?
কোনোভাবেই পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাশিয়ার মতো সঙ্গীত মহারথীর সঙ্গে আমার তুলনা চলে না। তার বংশধর বলেই অনেকে তুলনায় যেতে চান। এটাও ঠিক যে, বাঁশিশিল্পী হওয়ার পেছনে হরিপ্রসাদ চৌরাশিয়ার প্রভাব সব সময় আছে। কিন্তু আমি কখনও তার অনুকরণ করিনি। সেটা সম্ভব নয় বলেই নিজের মতো করে সঙ্গীত সাধনা করে যাচ্ছি।
যুগলবন্দিকে প্রাধান্য দেওয়ার কারণ কী?
যুগলবন্দি এক ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মতো। ভিন্ন ভিন্ন বাদ্যের সঙ্গে একই রাগ পরিবেশনের কৌশলটাও সহজ নয়। এটা করতে গিয়ে নানা ধরনের অভিজ্ঞতা যেমন হয়েছে, তেমনি শিল্পী হিসেবে নিজেকে আরও সমৃদ্ধ করার সুযোগ পেয়েছি। ওস্তাদ জাকির হোসেন, এডগার মায়ার, জোশুয়া রেডম্যান, বেলা ফেকসহ অনেকের সঙ্গে যুগলবন্দি বাজিয়ে অগণিত দর্শকের সাড়া পেয়েছি। এতে স্পষ্ট, দর্শক-শ্রোতারও যুগলবন্দি পছন্দ।
নিরীক্ষাধর্মী কাজ নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
নিজস্ব ভাবনাকে নানা মাত্রায় তুলে ধরা যায় বলেই নিরীক্ষাধর্মী কাজ সমর্থন করি। নিজেও চেষ্টা করি নানা আঙ্গিকে সঙ্গীত পরিবেশনের।