হৃদয়ছোঁয়া শুদ্ধ সংগীত
শাস্ত্রীয় বা উচ্চাঙ্গসংগীতের ঐতিহ্যগত গঠন ও কৌশলের প্রতি সাধারণ শ্রোতাদের আগ্রহ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ‘সংগীত জাগায় প্রাণ’ প্রতিপাদ্যে রাজধানীর ধানম-ির আবাহনী মাঠে বসেছে বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবের ষষ্ঠবারের আসর। গতকাল ছিল পাঁচ রজনীর এ উৎসবের তৃতীয় রাতের আসর। অনুষ্ঠান চলে ভোর ৫টা পর্যন্ত। প্রথমেই ছিল সেতারের সুরমূর্ছনা। পরিবেশনায় ছিলেন বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের শিল্পীরা। ঘাটাম ও কঞ্জিরা পরিবেশনা করেন বিদ্বান ভিক্ষু বিনায়ক রাম ও সেলভাগণেশ বিনায়ক রাম। খেয়াল শোনান প-িত অজয় চক্রবর্তী ও তার সরকারি সংগীত কলেজের শিল্পীরা। পাশাপাশি সরোদ বাদনে ছিলেন আবির হোসেন। বাঁশিতে শাস্ত্রীয় সুর তোলেন গাজী আবদুল হাকিম। প-িত উদয় ভাওয়ালকর শোনান ধ্রুপদ সংগীত। বেহালায় শুদ্ধ সংগীতের আবির ছড়ান বিদুষী কালা রামনাথ। খেয়ালের এই রাগ-রাগিনীতে মাঠে আসা শ্রোতাদের হৃদয় ছুঁয়ে যায় শুদ্ধ সংগীতের শুদ্ধ হাওয়া। কুয়াশার চাদরে যেন আরোহণ করেন সংগীতপিপাসুরা।আজকের সুরজল : আজ উৎসবের চতুর্থ দিন অর্থাৎ শুক্রবারের আয়োজনের শুরুতেই রয়েছে শাস্ত্রীয় নৃত্য। মণিপুরি, ভরতনাট্যম ও কত্থক নৃত্য পরিবেশন করবেন সুইটি দাস, অমিত চৌধুরী, স্নাতা শাহরিন, সুদেষ্ণা স্বয়মপ্রভা, মেহরাজ হক এবং জুয়াইরিয়াহ মৌলি। সরোদ বাজিয়ে শোনাবেন বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের শিক্ষার্থীরা। খেয়াল পরিবেশনায় থাকছেন ওস্তাদ রাশিদ খান। সরোদ বাদনে থাকছেন প-িত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার এবং বেহালা বাদনে ড. মাইশুর মঞ্জুনাথ। এ ছাড়াও খেয়াল পরিবেশনায় থাকছেন প-িত যশরাজ। চেলো বাদনে থাকছেন সাসকিয়া রাও দ্য হাস। সব শেষে থাকছে প-িত বুদ্ধাদিত্য মুখার্জির পরিবেশনায় সেতার বাদন।
উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞদের পরিবেশনার পাশাপাশি উৎসব প্রাঙ্গণে চলছে বাংলাদেশের সংগীতসাধক ও তাদের জীবনী নিয়ে সচিত্র প্রদর্শনী। এ ছাড়া বেঙ্গল ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেকচার, ল্যান্ডস্কেপস অ্যান্ড সেটলমেন্ট আয়োজন করেছে ‘সাধারণের জায়গা’ শীর্ষক স্থাপত্য প্রদর্শনী।